বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার পর একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই তিনি বিশ্বকাপে খেলতে চাননি। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তামিমের এমন মন্তব্যকে এবার ছেলেমানুষি বলেছেন সাকিব। দেশের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘রোহিত শর্মার মতো প্লেয়ার ৭ নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে এসে ১০ হাজার রান করে ফেলেছে। তো ও (তামিম) যদি দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে ৩-৪ এ খেলে বা ব্যাটিংয়ে নামে তাহলে কি খুব প্রবলেম হয়?’
সাকিব আরও বলে, ‘এটা আসলে আমার মনে হয় অনেকটা বাচ্চা মানুষের মতো, যে আমার ব্যাট আমিই খেলবো আর কেউ খেলতে পারবে না। টিমের প্রয়োজনে যেকেউ যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত। টিম ফার্স্ট।’
আরও পড়ুন- আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারেঃ ব্রায়ান শিলা
‘পার্সোনাল অর্জন দিয়ে আমি কী করবো। আপনি জিনিসটা দেখলেন যে কেন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দলের ভালো হবে বলেই তো। এটাতে খারাপ কী হবে। আপনি যখন বলবেন পারবেন ঠিক আছে আমি পারবো খেলতে। আপনি তখন দলের হয়ে খেলতে পারবেন।’-যোগ করেন সাকিব।
তামিমের বিশ্বকাপে না থাকা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি অন্তত যখন আন্ডার-১৫ থেকে খেলা শুরু করেছি একটি জিনিস খুব ভালো করে দেখে আসছি যে প্লেয়ারটা ভালো করছে, যে দলের জন্য অবদান রাখছে এই প্লেয়ারকে বাংলাদেশ কখনই কোনোদিনই বাদ দেয়নি। সিম্পল একটা উদাহরণ দেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই, তিনি এশিয়া কাপে ছিলেন না। হঠাৎ করে বিশ্বকাপ দলে আসলেন। একটা সিরিজ খেললেন। হয়তো ওইভাবে অবদান রাখতে পারেননি যতটা প্রয়োজন ছিল। আমি মনে করি তার আরও সামর্থ্য আছে। আরও ভালো করা উচিত ছিল। যে দুটি ম্যাচ খেলেছে দুই ম্যাচেই। ’
আরও পড়ুন- বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম
‘উনার জন্য সেই সুযোগটা ছিল এবং ভালো মঞ্চ ছিল আরও ভালো কিছু করার। তার যে ডেডিকেশন ছিল তার দলের প্রতি যে অবদান ছিল। দলের হয়ে খেলার যে ইচ্ছে ছিল সবকিছু সবাই দেখতে পেরেছে। আমার তো দায়িত্ব না পুরো দলটা নির্বাচন করার। এমনটা হলে এশিয়া কাপের একদিন পরেই এনাউন্স করে দল দিয়ে দিতে পারতাম। এটা অনেক প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়। অনেক কিছু চিন্তা করে দলটা গড়তে হয়। ’
এর আগে তামিম বলেন, ‘আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনোদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি তিন-চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল। আমার এরকম কোনো অভিজ্ঞতা নেই।’
টিম ম্যানেজমেন্টের এমন প্রস্তাব ভালোভাবে নেননি তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি এটা ভালোভাবে নিইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করেছি আমাকে জোর করে করে বাধা দেওয়া হয়েছে।’