ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ব্যাংক ঋণে সুদের হার না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তবে এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুদহার অস্বাভাবিক হারে বাড়বে না। এখনকার পদ্ধতি অনুসারে সামান্য পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়তে পারে।
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘করোনাকালীন ও সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসব পলিসি নেওয়া হয়েছে এজন্য গভর্নর ভাইদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। আগামীতে যেন সুদের হার না বাড়ে আমরা গভর্নরকে সে অনুরোধ জানিয়েছি। তবে গভর্নর জানিয়েছেন সুদহার তেমন বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনপর্যন্ত দুটি শিল্পখাতকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে ঋণ পরিশোধে। আরও কিছু খাতকে এ সুবিধা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে জানিয়েছি। যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেন।’
আরও পড়ুন- ‘এখন বাঁচলে দুজনে বাঁচব, আর মরলে দুজনে মরব’
ডলারের বিষয়ে গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘নির্ধারিত দামে যেন ব্যবসায়ীরা ডলার কিনতে পারেন এজন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছে। গভর্নর জানিয়েছেন এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
এলসি খোলা নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা কথা বলেছি, তারা যেন এলসি খুলতে পারেন। গভর্নর এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন এবং ব্যাংকগুলোকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক বলেন, ‘সুদহার না বাড়ানো নিয়ে এফবিসিসিআই বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে অস্বাভাবিক হারে সুদহার বাড়বে না। এখনকার পদ্ধতি অনুসারে ধাপে ধাপে সামান্য বাড়তে পারে। গড় এভারেজ সেভাবেই করা হয়েছে।’
ডলারের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ট্রেড ব্যালেন্স সমান, দাম বেশি হওয়ার কথা না। ডলার রেট নির্ধারণ করে বাফেদা-এবিবি। আমরা তাদের দেওয়া রেট নিয়ে কাজ করি।’