সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নেই, নেই চিকিৎসার সুব্যবস্থা। বেসরকারি হাসপাতালে টাকা গুনতে গুনতে ফতুর হচ্ছে রোগীর পরিবার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যেন মাথাব্যথাই নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যেনো মাথা ব্যথাই নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়েছে। যা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সাধারণ মানুষের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।’
আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে ১৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৯৩
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সংকুলান হচ্ছে না। স্যালাইনের অভাবে হাহাকার উঠেছে রোগীর স্বজনদের মাঝে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে স্যালাইনের কোন অভাব নেই, অথচ হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন নেই। ফার্মেসিতে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো টাকায়। রোগীদের অভিযোগ নার্সদের মাধ্যমেই চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। ২৪ ঘণ্টায় একবারও ডাক্তারের দেখা মেলেনা সরকারি হাসপাতালে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরদিকে, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা ও সেবা পেলেও গুনতে হচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা কেবিন ভাড়া, আইসিইউ ভাড়া, ঔষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিদর্শন বাবদ গুনতে হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তবে, হাসপাতাল ভেদে এই খরচ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগিদের চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষ যেনো স্বাভাবিক চিকিৎসা পাবার অধিকার হারিয়েছে।’
বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, ‘দুই সিটি কর্পোরেশন শুধু মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। স্প্রে করা ওষুধে মশা মরছে কিনা তাও দেখার কেউ নেই। জবাবদিহিতা থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না। ডেঙ্গু নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।’