“প্রশিক্ষিত যুব উন্নত দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টেকাব দ্বিতীয় পর্যায়ের আইসিটি ট্রেনিং ভ্যানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে প্রশিক্ষণ সমাপনী, সনদ ও ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে (৩০ আগস্ট) লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্ম-কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ প্রকল্পে ৪০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ সমাপনী, সনদ ও ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাসেল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) উপসচিব ও পরিচালক (টেকাব দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প) এম এ আখের এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিচালক (লক্ষ্মীপুর) জসীম উদ্দীন আহাম্মদ খান ও রায়পুরে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফয়জুননেছা পান্না।
আরও পড়ুন- বিশেষ স্লোগানে ওয়ার্কার্স পার্টির ১৫ দিনের কর্মসূচি
উপসচিব বলেন, ‘আইসিটি (কম্পিউটার) বিষয়ে প্রশিক্ষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীরা আইসিটি কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছে। নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুল পেরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুব মন্ত্রনালয় কৃষি, শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, অবকাঠামো উন্নয়ন করেনি বরং উপকূলীয় অঞ্চলের বেকার যুব-যুবমহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটা আজ প্রমাণ হয়েছে।’
এম এ আখের বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেকার যুব-যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলায় আইসিটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণের কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কম্পিউটার বিষয়ে যারা প্রশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে তাদের আয় উপার্জনের সুবিধার্থে দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ইনকিউবেটর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীরা ইনকিউবেটর ব্যবহারে সুযোগ পাবে।
কম্পিউটার বিভিন্ন বিষয়ে ৬০ দিন কার্যদিবস সম্পন্ন শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও ক্রেষ্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন- অনলাইন থেকে তারেক রহমানের সব বক্তব্য সরানোর নির্দেশ
উপ-পরিচালক বলেন, এলাকার বেকার যুব-যুবমহিলা যারা এ প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে আজ তারা অনেকেই সাবলম্বীর পথে। ইতোমধ্যে অনেকে আন্তজার্তিক বাজারে ডলার আয় উপার্জন করতে সক্ষম এবং স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করছে। এটাই প্রকল্পের সার্থকতা। প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার পরও প্রশিক্ষণার্থীরা যাতে দপ্তরের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে এ বিষয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রায়পুরের মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা একেএম সাইফুল হক, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার ও প্রশিক্ষক মোঃ শরিফুল কাশেমসহ দপ্তরের সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।





