লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২০১৮ সালে কলেজ ও পৌরসভার ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি হয়। তিন মাসের জন্য ২০২১ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি করা হয়। ২০১৬ সালে ৩ মাসের জন্য উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়। তা বাতিল না করেই আবারও ২০১৯ সালে আরেকটি আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া- লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি নেই গত দুই বছর। আ’লীগের সহযোগী দুই সংগঠনের দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নতুন পদ প্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে দিন দিন। কবে সম্মেলন হবে এবং কমিটি হবে সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। দলের এমন অবস্থায় হতাশ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাঁদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ।
দীর্ঘ সময় ধরে সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, বর্তমান কমিটির অনেক নেতা বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। পৌর কমিটির তিনজনই বিবাহিত। ওয়ার্ড আর উপজেলায় আগের মতো নেতাকর্মী নেই। সংগঠনের নতুন নেতা সৃষ্টি করতে হলে সম্মেলন ছাড়া বিকল্প নেই। সম্মেলন ও নতুন কমিটি না হওয়া এবং নানা কারণে ছাত্র ও যুবলীগ জৌলুস হারাচ্ছে বলে জানান পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্য, গতিহীন হয়ে পড়েছে সার্বিক কার্যক্রম। গত ৮ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে।
রায়পুরে ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিঃ
তিন মাসের জন্য ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে বর্তমানে পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান রিজভিকে আহবায়ক, রায়হান ও ফরহাদকে যুগ্ম আহবায়ক করে ১৫ সদস্যের পৌরসভার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পাবেল মাহমুদকে পুনরায় আহবায়ক ও কাউছার হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ১০ সদস্যের উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন- রাজধানীতে চলছে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ
গত ২৮ জুলাই সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি অসুস্থ্য থাকায় তা আর হয়নি। তবে সেপ্টেম্বর মাসে সম্মেলন হবে বলে জানান ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান রিজবী।।
রায়পুরে যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিঃ
২০১৬ সালের জুলাই মাসে রায়পুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়। এতে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মন্জুর হোসেন সুমনকে আহবায়ক ও এডঃ ইউসুফ আজমকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২১ সদস্যের উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়। ২০১৯ সালে জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে তার দুই মাস আগে জেলা পরিষদের সদস্য মামুন বিন জাকারিয়াকে আহবায়ক ও কৌশিক আহমেদ সোহেলকে যুগ্ম আহবায়ক করে পাল্টা আহবায়ক কমিটি দেন জেলা কমিটি। পরে জেলা কমিটিই বিলুপ্ত করে সকল কার্যক্রম মৌখিকভাবে স্থগিত করে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই থেকে লক্ষ্মীপুর এবং রায়পুর পৌর ও রায়পুর উপজেলার কোন কমিটি ও কার্যক্রমও নেই।।
এদিকে তিন মাসের জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়। এতে স্থানীয় এমপির শ্যালক আজম চৌধুরীকে আহবায়ক ও তানজিদ কামালকে যুগ্ম আহবায়ক করে চার সদস্যের কমিটি দেযা হলেও এখন পর্যন্ত পুর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।
ছাত্র ও যুবলীগের উপজেলার নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের দাবি, দীর্ঘদিনেও সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না এ গুরুত্বপুর্ণ উপজেলায়। অবিলম্বে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানান।
জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর -২ (রায়পুর) সাংসদ এডঃ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘সহসাই লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হলেই রায়পুরের সকল কমিটি গঠন করা হবে। সেপ্টেম্বর মাসেই ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে।’



