একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ তার জন্মস্থান পিরোজপুর নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এসময় নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি আর বাধায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও হাসপাতাল থেকে ২০০ গজ এগিয়ে যেতে পারেনি কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি। পরে পুলিশ জোরপূর্বক লাশবাহী অ্যামুলেন্সটি বের করতে চাইলে রাত ৪টার দিকে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন- মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর নেই
এর আগে উপস্থিত জামায়াতের নেতারা বলেছিলেন, প্রশাসন অনুমতি দিলে আজ (বুধবার) বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। অনুমতি না মিললে পিরোজপুরে সাঈদীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তার নামাজে জানাজা হবে। যেহেতু বিএসএমএমইউতে তার (সাঈদী) অসংখ্য ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন সেহেতু রাতে এখানেও নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় ভোর রাতেই পিরোজপুরের উদ্দেশে মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন- ১২১টি স্কুলে গাছের চারা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে ৫টার সময় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পার্ট-১ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রবিবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।