কুড়িগ্রামের উলিপুরে রোকাইয়া জান্নাত রিংকী (১৭) নামে এক সেনা সদস্যের স্ত্রীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার ধরনী বাড়ি ইউনিয়নের কেতকীরপাড়া গ্রামের মৃত কছর উদ্দিনের ছেলে সেনা সদস্য মেহেদী হাসানের সাথে রিংকীর বিয়ে হয়। ওই সেনা সদস্য বিয়ের পর তার কর্মস্থলে থাকায় রিংকী প্রায় সময় তার বাবার বাড়িতে থাকতো। চাকুরির সুবাদে পিতা রেজাউল করিম লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থাকেন।
ওইদিন মা মাসুদা বেগম ছেলে-মেয়ে ও শশুর শাশুড়ীকে রেখে পাশ্ববর্তী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
এদিকে রিংকী তার দাদা-দাদী ও ছোটো ভাই মুজাহিদকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিল।
প্রতিদিনের ন্যায় রিংকী রাতের খাবার শেষে তার শয়ন ঘরে ঘুমাতে যায়।
রবিবার সকালে রিংকী ঘুম থেকে না ওঠায় ছোট ভাই মুজাহিদ তাকে ডাকতে গেলে তার কোনো সারা শব্দ না পাওয়ায়, ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাথরুমের দরজা দিয়ে রুমে ঢুকে খাটের উপরে রিংকীর রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখতে পায়। তার আত্মচিৎকারে দাদা-দাদী ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে রিংকীর লাশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন- মিয়ানমারে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
হত্যাকান্ডের ঘটনাটি উলিপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজকে ঘটনাটি জানান।
পরে পুলিশ সুপার সহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় রংপুর সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন শনিবার রাতের যে কোনো সময় দুর্বৃত্তরা রিংকীর শয়ন ঘরে ঢুকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমীন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে সাংবাদিক সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।’
পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।’