গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, নিবন্ধন নং ১১৪
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  16. বিনোদন
  17. বিশেষ প্রতিবেদন
  18. রাজনীতি
  19. শিক্ষাঙ্গন
  20. শেখ হাসিনার পতন
  21. সম্পাদকীয়
  22. সারাদেশ
  23. স্বাস্থ্য
  24. হট আপ নিউজ
  25. হট এক্সলুসিভ
  26. হাই লাইটস

১৬ বছরে ১০ বার মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আগস্ট ১৩, ২০২৩ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে অন্তত ১০ বার মেডিক‌্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সাত জন চিকিৎসক রয়েছেন বলে জানায় সিআইডি।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ৩০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার টিম। তারা হলেন ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান, ডা. সোহেলী জামান, ডা. আবু রায়হান, ডা. জেড এম সালেহীন শোভন, ডা. জোবাইদুর রহমান জনি, ডা. জিল্লুর হাসান রনি, ডা. ইমরুল কায়েস হিমেল, জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার, রওশন আলী হিমু, আক্তারুজ্জামান তুষার, জহির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী ও আবদুল কুদ্দুস সরকার।

আরও পড়ুন-   বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক শক্তি নেইঃ প্রধানমন্ত্রী

মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, চক্রটি এখন পর্যন্ত ১০ বার প্রশ্ন ফাঁস করেছে। আর এতে হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ, নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক শত বিদেশি থাই বাথ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ভর্তির এডমিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষা সামনে আসলেই এক শ্রেণির চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠে প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য। এই চক্র নানা কায়দায় প্রশ্ন ফাঁস যেমন করে, তেমনি গুজব ছড়িয়ে পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্তও করে। শিক্ষা খাতের ক্যান্সার হিসেবে বিবেচিত এসব প্রশ্ন ফাঁস চক্রকে নির্মূল করতে কাজ করছে পুলিশ।

সিআইডি প্রধান জানান, দেশের মেডিক‌্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্নফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। ২০২০ সালে মিরপুর মডেল থানায় করা এক মামলায় সম্প্রতি চক্রের অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিক‌্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে। প্রশ্ন ফাঁস করে মেডিক‌্যালে ভর্তি হয়েছেন এমন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম পেয়েছে সিআইডি। এরমধ্যে অনেকে পাস করে ডাক্তারও হয়েছেন। গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল জেলায় অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রটির ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে ৭ জনই ডাক্তার। তাদের সবাই বিভিন্ন মেডক‌্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্ন ফাঁস করতেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে অন্তত ১০ বার এই চক্র মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস করেছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুল সংখ্যক ব্যাংকের চেক এবং এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এদের ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথাও জানান তিনি।

সিআইডি প্রধান বলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। ২০২০ সালের প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে নেমে সিআইডি প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল হোতা জসীম উদ্দীন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রেসের মেশিনম্যান জসিমের খালাতো ভাই মোহাম্মদ সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এই ১২ জনের নাম আসে। দীর্ঘ দিন তারা পলাতক ছিলেন। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-   গাইবান্ধায় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ৭ জন গ্ৰেফতার

তিনি বলেন, ‘চক্রের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট বিশ্লেষণ করে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কোন অপরাধ করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। মেডিক‌্যালের প্রশ্ন ফাঁস চক্র চিকিৎসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা স্বামী -স্ত্রী। স্বামী চিকিৎসক ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা । তিনি ময়মনসিংহ মেডিক‌্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ফেইম নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিক‌্যাল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়ান। কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিক‌্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অবৈধভাবে শত-শত শিক্ষার্থীকে মেডিক‌্যালে ভর্তি করিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন ফাঁস ও মানিলন্ডারিং দুই মামলাতেই এজাহারনামীয় আসামি। ময়েজ চিহ্নিত ছাত্র শিবির নেতা এবং পরবর্তীতে জামায়তের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। তার স্ত্রী গ্রেপ্তার সোহেলী জামান (৪০) প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য। তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চক্ষু ডাক্তার। ময়মনসিংহ মেডিক‌্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ফেইম নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে স্বামী ময়েজের মাধ্যমে মেডিক‌্যাল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়ান তিনি।’

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা জসীম এর বড় ভাই ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যুরো প্রেসের মেশিনম্যান সালামের এর খালাতো ভাই। তিনি নিজে আলাদা একটি চক্র চালাতেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অবৈধভাবে শত শত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিক‌্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। গ্রেপ্তার রওশন আলী হিমু চক্রের হোতা জসীমের ঘনিষ্ট বন্ধু এবং পুরনো সহযোগী। রওশন আলী হিমু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে মেডিক‌্যাল প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার আক্তারুজ্জামান তুষার মেডিক‌্যাল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের ঘনিষ্ট সহচর। মেডিক‌্যাল প্রশ্ন ফাঁস মামলার এজহারনামীয় আসামি। ই-হক নামে কোচিং সেন্টার চালাতেন। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়ান। ২০১৫ সালে রাবের হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। এছাড়া, গ্রেপ্তার জহির উদ্দিন আহমেদ মেডিক‌্যাল প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের পুরানো সহচর। ঢাকার ফার্মগেটে ইউনিভার্সেল নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালাতেন। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি।

শীর্ষসংবাদ/নয়ন

biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ

জে এম আলী নয়ন

জে এম আলী নয়ন

সাব এডিটর

সর্বমোট নিউজ: 5482

Share this...
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
  • আমাদেরকে ফলো করুন…