বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কেউ নিরাপদ বোধ করে না। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউ নিরাপদ বোধ করে না। সাধারণ মানুষ নিরাপদ বোধ করে না।’ এসময় তিনি অভিযোগ কনে- বিএনপিকে হিন্দুবিরোধী সংগঠন হিসেবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে অপপ্রচার চালায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দে।
আরও পড়ুন- গাইবান্ধায় দৈনিক করতোয়া পত্রিকার ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) একটা মার্কেটিং করে। মার্কেটিংটা হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সবচেয়ে বেশি। তাদের কাছে একটা অপপ্রচার চালায় যে বাংলাদেশে বিএনপি হচ্ছে একটা হিন্দুবিরোধী সংগঠন। আমরা জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা (অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন) নিরাপদ থাকে। তখন এই ধরনের কর্মকাণ্ড (মন্দির ও গির্জা ভাঙচুর) কম হয়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির আমলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমাদের যে ভিশন ২০৩০ এবং যে ৩১ দফা দিয়েছি, সেখানে সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি আছে। গণতন্ত্র থাকলে সেটা তো থাকবেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে তো ওটাও থাকবে না। একমাত্র সুরক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রের লড়াই-সংগ্রামে আমাদের জয়ী হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘কথায় কথায় বলে, তারা হচ্ছে এ দেশে সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক। আমরা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল দেখেছি। এ দেশে সত্যিকার অর্থে আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু যারা আছে, তাদের বাড়িঘর-দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য যদি দখল করে থাকে, সেটা আওয়ামী লীগের লোকেরাই সবচেয়ে বেশি করেছে।’