প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সংস্কৃতি চর্চায় তৃণমূল থেকে মেধাবীদের খুঁজে বের করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে গণগ্রন্থাগার অধিদফরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও একটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভিত্তিফলক উন্মোচন ও বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য ঢাকায় নবনির্মিত কপিরাইট ভবন উদ্বোধন করেন।
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকার কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
আরও পড়ুন- রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশ বা যেকোনো জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে গেলে সংস্কৃতির ওপরেই আঘাত করা হয়। আমাদের সেই জায়গায় আঘাত করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। ১৯৪৮ সালে সেই আঘাত আসে। তারা বলেছিল— বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না, উর্দু ভাষায় কথা বলতে হবে। তারা নানাভাবে আমাদের মাতৃভাষার অধিকারটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের সংস্কৃতিটাই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখলে ও বিকশিত করলে এর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তৃণমূল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। সেগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ উদার মানসিকতার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার… সেই দিকটা যেন আরও বিকশিত হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ।





