সরকারি অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি নতুন করে নির্ধারণ করা হলেও বেসরকারি অফিসের বিষয়ে কোনো আলোচনা বা নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে ইতোপূর্বে বেসরকারি অফিসগুলো সরকারি অফিসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালু রাখার নজির রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২২ আগস্ট) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা এবং ব্যাংক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি অফিস এবং গার্মেন্টস, শিল্পকারখানাগুলোর জন্য আলাদা করে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
বেসরকারি অফিসের সময়সসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। গার্মেন্টস-শিল্পকারখানার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাণিজ্য বা শ্রম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, ওনারা দেখবেন আসতে পারেন কিনা।
দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের তুলনায় বেসরকারি অফিস ও কর্মী সংখ্যা বেশি। করোনাকালীন সরকারি অফিসগুলোর জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা যেমন: অর্ধেক জনবল, ওয়ার্ক ফ্রম হোম—এগুলো সরকারি অফিসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালু রাখা হয়েছিল।
গত মাসের সাত তারিখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারাদেশে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার পরামর্শ দেয়া হয় সেই নির্দেশনায়।
জুলাই মাসের ১৯ তারিখ থেকে সারাদেশে এলাকা ভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বেশিরভাগ এলাকাতেই লোডশেডিং তার চেয়ে বেশি হচ্ছে।