বিদেশিদের প্রভাবিত করে দেশে আবারও ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ খুশি হলে বিএনপির মন খারাপ হয়। বিদেশিদের কাছে গিয়ে লাফালাফি করে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। বিএনপি যে ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে তা দেখে লাভ নেই।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। উন্নত বিশ্বের কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো আজব সরকার নেই। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মনে মনে ‘মন কলা’ খাচ্ছে।
আরও পড়ুন- বরিশাল-খুলনার ফল প্রত্যাখ্যান, সিলেট-রাজশাহীর ভোট বর্জনের ঘোষণা
কাদের বলেন, মানুষ পোড়াবে, দেশে বিশৃঙ্খলা করবে এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের প্রয়োজন নেই। বিএনপি আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কাদের বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণে বিএনপি হতাশাগ্রস্ত। তারা দুঃস্বপ্ন দেখেছিল সাধারণ মানুষও ভোট বর্জন করবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে বিএনপি বলবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ ছাড়া কখনোই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা স্বীকার করবে না। বিএনপি একটি দল যারা আইন বিচার কিছুই মানে না।
কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। আমি একটু জানতে চাই, ফখরুল সাহেব, আমির খসরু সাহেব। কবে শেষ? দিন তারিখ বলুন। ১৪ বছর ধরে তো শুনছি। বলে রোজার ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, তারপর বলে বর্ষার পর, পরীক্ষার পর। এই বছর না ওই বছর? আন্দোলন হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর?’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, সময় যখন শেষ প্রেস কনফারেন্স করে সময়টা জানিয়ে দেবেন। আমরা এক গোছা গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে হাজির হব। সময়টা বলেন। যেন আমরা সময়মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি।’
আরও পড়ুন- ৬ ভাইকে পিকআপ ভ্যান চাপায় হত্যা, চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কত কথা এরা বলে! সারা বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটা বিষয় আমরা জানতে চাই, আপনারা কি মনে করেন শেখ হাসিনা দেশটা ভালো চালিয়েছে? আপনারা কি মনে করেন, এত দিনে তাপমাত্রা, আল্লাহর কি রহমত, তাপমাত্রা কমে গেছে। লোডশেডিং কমে যায়নি? ফখরুল আপনার দোয়া! শকুনের দোয়া কাজে লাগেনি। তাপমাত্রা আরও কমবে। লোডশেডিং আরও কমে যাবে। কয়টা দিন অপেক্ষা করেন।’
জনভোগান্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লোডশেডিং একেবারেই বন্ধ হবে। নিত্যপণ্যের দাম ও সংকটও কমে যাবে। জ্বালানি সমস্যা সমাধানেও শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা ভাবেন। যা অন্য কেউ ভাবেন না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।