গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। মুনিম বলেছেন, যাদের টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, তারা কেউ গরিব না। টিআইএন থাকলেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আর রিটার্ন দাখিল করলেই ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, টিআইএন থাকলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এখানে আপনাদের দেখতে হবে, কাদের টিআইএন আছে। আমাদের দেশে যারা আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় করে, সিটি করপোরেশনে যাদের গাড়ি-বাড়ি আছে, তাদের টিআইএন লাগে। যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা আর যা-ই হোক, গরিব না। তাদের বছরে ২ হাজার টাকা দিতে সমস্যা হওয়ার কথা না। উল্টো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা দিতে পেরে তাদের গর্ববোধ করা উচিত।
আরও পড়ুন- ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫০, আহত ৩০০
তিনি আরও বলেন, যাদের টিআইএন ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হয়, তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে। তবে, কোনো গরিব মানুষ যদি ২ হাজার টাকা কর দিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ে শামিল হতে চান, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বাজেট ২০২৩-২৪ঃ স্মার্ট বাংলাদেশে একধাপ এগিয়ে যাবে দেশ
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা।
মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।