শুক্রবার এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন- সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেছেন, জান্তাচালিত আদালতে সু চির বিচার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর চলমান সংকটের অবসানের জন্য তার সঙ্গে আলোচনার জন্য জান্তার দ্বার উন্মুক্ত।
মিন অং হ্লাইং আরও বলেছেন, আইন অনুসারে সু চির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আমরা তার প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করবো।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৭ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করে জান্তা সরকার। মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।
এএফপি বলছে, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন অভিযোগে অং সান সু চিকে এখন পর্যন্ত ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির বিরুদ্ধে আরও কয়েক দশকের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হতে পারে। অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির বিরুদ্ধে আরও কয়েক দশকের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হতে পারে।
সু চির বিচার কার্যক্রম থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখা হয়েছে। এমনকি তার আইনজীবীরাও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত রয়েছেন। এছাড়া সু চির এই বিচার কখন শেষ হতে পারে তার কোনো ইঙ্গিতও এখন পর্যন্ত দেয়নি জান্তা সরকার।
গত জুলাইয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন এএফপিকে বলেছিলেন, গত বছর সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল তা সমাধানের জন্য সু চির সঙ্গে জান্তা সরকারের সংলাপে বসাটা ‘অসম্ভব নয়’।
স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, ক্ষমতা দখলের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।