লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করা অভিযোগ উঠছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ পুলিশ হোটেল মালিক সবুজ ও কশাই চৌধুরীকে আটক করে। কয়েক ঘন্টা পর মুচলেকা নিয়ে পুলিশ দুইজনকে ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দিনব্যাপী শহর জুড়ে মানুষের মুখে-মুখে একটাই কথা ছিলো ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এর-আগে,বুধবার রাতে পুলিশ ঝুমুর হোটেল ও কশাই চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চাঁদখালী মসজিদ বাড়ীর তার ঘর থেকে মাংস উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঝুমুর হোটেল। মাদাম জিরো পয়েন্ট, যেখানে দিনের বেলা প্রায় ১-২ টা ঘোড়া চোখে পড়তো। সেই ঘোড়া গুলো কার ছিলো একপর্যায়ে বেরিয়ে এসেছে ওই ঘোড়া গুলো ছিলো কশাই চৌধুরীর। মাদাম থেকে একটু অদূরে সান ঘাটা নামকস্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘোড়া-গুলো জবাই করা হয়। পরে ওইখান থেকে ঘোড়ার মাংস ঝুমুর হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে কশাই চৌধুরী। তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। আটক করে কশাই চৌধুরী ও ঝুমুর হোটেলের মালিক সবুজকে। পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা একটি ছবি সাংবাদিকদের হাতে আসে।
ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক মো. শরীফ জানান, আমার রিকশা করে কশাই চৌধুরী সান ঘাটা থেকে ঝুমুর হোটেলে মাংস দেয়। পরে আমি শুনেছি মাংসগুলো ঘোড়ার মাংস।
সিএনজি চালক কবির বলেন, আমরা সবসময় এ ঝুমুর হোটেলে নাস্তা করি। অনেক সময় দুপুর বেলা মাংস দিয়ে খাবার খাই। আজ শুনলাম এ হোটেলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবীর সহকারী রাসেল হোসেন বলেন, গরুর মাংস নয়, ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয় হোটেলে বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রশাসন যদি অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করে সকলেই।
ঝুমুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী (মালিক) মো. সবুজকে হোটেলে এসে পাওয়া যায়নি। তবে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গরুর মাংস বিক্রি করি। একটি চক্র ও কশাই চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কশাই চৌধুরী ও হোটেল মালিক সবুজকে এনেছি। মামলা দেওয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী ছিলো না। মাংস গুলো কিসের মাংস পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।