গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদকে (৪) হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নিলে তারা এই হত্যার স্বীকারোক্তি দেয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খোরশেদ আলম (২১) আশাদুজ্জামান রনি (১৯), ছকিনা বেগম (৬০), ববিতা বেগম (৪৫), মনিরা বেগম (২২), রোস্তম আলী মন্ডল (১৪) ও সোহাগ মন্ডল (১৬)।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের তাহারুল ইসলাম ও রাহেনা বেগম দম্পতির ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদ গত ৮ মে বিকেলে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও বাড়িতে না ফেরায় ৯ মে শিশুর মা রাহেনা বেগম পলাশবাড়ী থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে ১০ মে রাহেনা বেগম বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিন একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম শেরেকুলের ছেলে সাকিব হাসান রোমান (১৯) ও সোহরাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২০) ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাইজিদকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তথ্য প্রদান করে। এরপর গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় মোখাঃ লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন
এদিকে; গত ১৩মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামি রোমানের বাড়ির পূর্বপাশে ধানক্ষেত থেকে আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৪ মে বিজ্ঞ আদালত রোমান ও শরিফুলের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ রিমান্ডের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাকিব হাসান রোমান এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে এ ঘটনায় খোরশেদ আলম, আশাদুজ্জামান রনি, ছকিনা বেগম, ববিতা বেগম, মনিরা বেগম, রোস্তম আলী মন্ডল ও সোহাগ মন্ডলসহ মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান, পলাশবাড়ীর ওসি মাসুদ রানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নুর-ই আলম সিদ্দিকী।