ভোলার নবম কূপ ইলিশা-১ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। বাপেক্স ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জিএম মোঃ আলমগীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির (বাপেক্স) তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন শুরু করে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে ধারণা করছে বাপেক্স কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ৯ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিয়া ইউনিয়নে মালের হাট এলাকায় ‘ইলিশা-১’ নামের এ কূপের খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পেলে সোমবার (২৪ এপ্রিল) তিন স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট)-এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয়। এরপর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।
বাপেক্স জানায়, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তেলন করা হবে। এখানে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা রয়েছে। ভোলার শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দু’টি গ্যাসক্ষেত্রে এ পর্যন্ত ৯টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট ১.৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
বাপেক্স ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জিএম মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এখন টেস্টিং চলছে, মাটির ৩,৪৩৩ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর আলোকে গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আগামী অক্টোবরে নতুন করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।
ভোলার শাহবাজপুরে ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় নতুন করে জেলায় বড় শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখছে ভোলাবাসী।