ঢাকার শহরে দুই ধরনের ছিন্নমূল মধ্যবিত্ত রয়েছে। এর একদল একদিন পান্তা খাওয়ার পক্ষে, তো অন্য আরেকদল পান্তার কতো খারাপ এটা প্রমাণ করার পক্ষে। ফুটানির দিক থেকে কেউ কারোর কম নয়; অর্থাৎ দুই দলই সমানে সমান।
বাংলাদেশকে যদি আমরা কৃষি সভ্যতার দেশ রূপে বিবেচনা করি, তাহলে দেখা যাবে পান্তার সঙ্গে ক্ষেত-মজুরের গভীর থেকে গভীরতম সম্পর্ক রয়েছে। ছোটবেলায় দেখেছি, যারা জমিতে কৃষিকাজ করেন তারা বিপুল পরিমাণ পান্তা ভাত খেতেন। পান্তার সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন শুকনো ভাজা মরিচ কিংবা কাঁচা মরিচ, সরিষার তেল, লবণ, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
কোনো কোনো কৃষক কিংবা ক্ষেত মজুরদেরকে দেখেছি বাটামরিচের সঙ্গে বাদাম ভর্তা বা শুটকি বা ডিম ভাজা দিয়েই খেতেন। একবার আমি একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সকাল বেলায় এতো পান্তা খান কেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, চৈত-বৈশাখে দুপুরের তপ্ত গরমে খোলা মাঠে কাজ করি। পান্তা খেলে সারাদিন সূর্য্য শরীরে তাপ দিলে শরীরে ঠান্ডা অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
এটাই হলো গাঁয়ের ক্ষেত মজুরের কৃষি বিজ্ঞান। এটাই তাদের জীবন। পান্তা মূলত কৃষি সভ্যতার জীবনের অংশ। এটাই গরিব কৃষকের শ্রমের সংস্কৃতি।
কবি অভ্রনীল পান্তা ভাত নিয়ে যা বলেন তা হচ্ছে-
জলের উপর ভাত; নাকি ভাতের উপর জল- বল খোঁদা বল