সারা দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা দাবদাহ চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টিশূন্যতা। এতে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাই পরিবেশ শীতল ও রোদের উত্তাপ থেকে স্বস্তি পেতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামাতের পর বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে ইমাম বিশেষ খুতবা দেন। এরপর সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির মুক্তিসহ কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই মসজিদে মোট ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন- আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন একই মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ ইসহাক।
মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান মোনাজাতে বলেন, তীব্র গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই এই গরম থেকে রক্ষা ও পরিবেশ শীতল করতে বৃষ্টির প্রার্থনা করি।
এ সময় দেশের ওপর রহমতসহ মুসলিম উম্মার মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।
সকালে জাতীয় মসজিদে প্রধান ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন। ঈদের নামাজের পর প্রধান আনন্দ একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময়ে। নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা।
এদিকে মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর কোলাকুলিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই এবার কোলাকুলিতে কোনো বাধা নেই। নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করতে দেখা দেছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
এর আগে সকাল ৬টার আগে থেকেই জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৬টায় মসজিদের ভেতর মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই পুলিশ তল্লাশি করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায় ও চতুর্থ জামাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বেলা পৌনে ১১টায়।