ইসলাম মানে শান্তি। আর ইসলামের মূল বিক্রি হল পাঁচটি। তার মধ্যে একটি হলো সিয়াম বা রোজা। আর রোজার মধ্যে তীব্র গরমে জনজীবন যেন যায় যায় অবস্থা। এর মধ্যে যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বাড়ছে।
জানা যায়, মদন পৌর সদরে কিছুটা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ পায় না বললেই চলে। আর এই রকম লোডশেডিং এর কারণে সাধারণ মানুষ এর মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তীব্র লোডশেডিং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাধারণ মানুষ মদন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বরাবর বিভিন্নভাবে দিচ্ছেন খোলা চিঠি।
পল্লী বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং এ বিরক্ত হয়ে প্রত্যন্ত মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামের মোঃ রহিম ইয়ার চৌধুরী নামে একজন সচেতন নাগরিক পরিচয় দিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে উদ্দেশ্য করে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক একাউন্ট হতে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে রহিম ইয়ার চৌধুরী জানান, তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন ভুক্তভোগী গ্রাহক। অতিরিক্ত পরিমাণে লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎকে নিয়ে ট্রল করছে।
তিনি আরও জানান, দুপুরে ঘুমাতে যাওয়ার কিছু সময় পরে বিদ্যুৎ চলে গেলে তিনি প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল তার। পরে মাথায় পানি ও চার্জার ফ্যানের বাতাসে কিছুটা সুস্থতা বোদ করেন।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম কেন বেড়েছে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এভাবে চলতে থাকলে বাল্ব, ফ্রিজ, ফ্যান, মটর ইত্যাদি বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রের বিশাল ক্ষতিসাধন হবে জানিয়ে তিনি লিখেন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকলে লোডশেডিং হবে। কিন্তু বারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষদের কথা চিন্তা করে যতটুকু সম্ভব লোডশেটিং কমিয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
এব্যাপারে, নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মদন জোনাল অফিসের ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ হোসেন এর সাথে লোডশেডিং এর বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবের ফলে ও ময়মনসিংহে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় এ সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।