ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত এবং ইসলাম ধর্মের অপমানের অভিযোগ তুলে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ “মঙ্গল শোভাযাত্রা” বন্ধ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান। এতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের নান্দনিক এই আয়োজনকে অসাংবিধানিক, বেআইনি উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নইলে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট করার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক এর সরাসরি লঙ্ঘন। এটা দণ্ডবিধির (Penal Code) ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধও।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বাংলা নববর্ষের দিন সারা দেশেই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনটাই মূল। এটি বন্ধ হলে সারা দেশে এ আয়োজন বন্ধ হবে বলে মনে করেন সর্বোচ্চ আদালতের এই আইনজীবী।
আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের আর কয়েক দিন মাত্র বাকি। এবারও মঙ্গল শোভাযাত্র করার আয়োজন চলছে। তাই এ আয়োজন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশটি পাঠিয়েছি।’
