আগাম ভোটের প্রশ্নই আসে না মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগাম নির্বাচন হবে না, রোডম্যাপ অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন কেনো ইভিএম ব্যবহারের সিন্ধান্ত থেকে সরে আসলো এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত কমিশনের নিজস্ব। ব্যালট বা ইভিএম যে কোনো পদ্ধতিতে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। তবে ব্যালটের চাইতে ইভিএম নিরাপদ বেশি। এখন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত কোন চাপে নয়। কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ব্যালটের চাইতে ইভিএম নিরাপদ বেশি। কারচুপি বন্ধ করা সহজ। আগাম নির্বাচন হবে না, রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি কমিশনের। আগাম ভোটের প্রশ্নই আসে না।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শতভাগ সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা ইভিএমেও যেমন পুরোপুরি সম্ভব নয়, ব্যালটেও পুরোপুরি সম্ভব নয়। বিষয়টা আপেক্ষিক হতে পারে। অধিকতর ভালো। যেটা আমরা সব সময় বিশ্বাস করেছিলাম যে ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোটটা অনেক বেশি নিরাপদভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয় যান্ত্রিক কারণে। কাজেই শতভাগ নিশ্চিত করার কথা আমি বলতে চাচ্ছি না।’
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এ জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার একটা প্রকল্প দিয়েছিলাম। উদ্ভূত যে পরিস্থিতি যুদ্ধ থেকে, বিশ্বময় যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার যে প্রকল্প নিয়েছিলাম, ২ লাখ নতুন ইউনিট কেনার, সেটাতে সরকার এগ্রি (অনুমোদন না দেওয়া) করতে পারেনি।’
আরও পড়ুন- বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়নিঃ সিইসি
তিনি আরও জানান, ইভিএমের বাজেট না পাওয়ায় ব্যালটে ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে সব রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ না নিলে ব্যালট বা ইভিএম কোন পদ্ধতিতেই শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। তাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক সেই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত কমিশনের থাকবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইসির কাছে এখন ব্যালট বা ইভিএম সংকট নয় মূল সংকট অংশগ্রহণমূলক ভোট। তাই সব দলকে ভোটে আনতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করার কথা জানান সিইসি।
গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট কাগজের ব্যালটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।