রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
অপরদিকে শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।
এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে শামসকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫৮।
আরও পড়ুন- রমনা থানার মামলায় শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার, নেওয়া হয়েছে আদালতে
মামলার এজাহারে বলা হয়, শামসুজ্জামানের প্রস্তুত করা প্রতিবেদন প্রথম আলোতে স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের কারণে বাংলাদেশেসহ বহিঃবিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে একাত্তর টিভির একটি প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদন।
এদিকে একই ঘটনায় বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামে এক আইনজীবী। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।