বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিরিহ ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত পাহাড়িদের চিকিৎসা সেবা দিতে গমনকারী টহল দলের উপর পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন (কেএনএফ) কর্তৃক গুলিবর্ষণ এবং সেনাবাহিনীর মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দিন’কে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেল বিকালে খাগড়াছড়ি৷ শহরের শাপলা চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পিসিএনপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
মানববন্ধনে শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত হয়ে মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দীন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আবু তাহের, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন,পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর রামগড় পৌর কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ সহ খাগড়াছড়ি জেলার নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন- পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করুন। অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। ৩৬ হাজার বাঙ্গালী হত্যার নায়ক সন্তু লারমা এসব হত্যাকাণ্ডের জবাব একদিন দিতে হবে। এতদিন এই সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের নিরিহ পাহাড়ি বাঙ্গালীকে হত্যা করেছে, এখন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন (জেএসএস) এর নায়ক সন্ত লারমা নতুন রুপ ধারণ করে কেএনএফ তৈরি করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক টীমের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে সেনাবাহিনীর মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দিন কে হত্যা করেছে। পাহাড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে তাদেরও নিরাপত্তা নেই এই ৩ পার্বত্য জেলাতে।
বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের নেতারা সেনাবাহিনীর মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মলূক শাস্তিরও দাবী করেন। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ তথা পার্বত্য সাধারণ জনগণ কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করবে।