ঢাকাSaturday , 11 March 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গনমাধ্যাম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. ফ্যাশন
biggapon বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • ৩০০ কোটি মানুষের বাজার হতে পারে বাংলাদেশঃ প্রধানমন্ত্রী

    Link Copied!

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে। পূর্ব-প্রাচ্য ও প্রাচাত্যের সেতুবন্ধন হিসেবে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। ২০৩৭ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ”

    শনিবার (১১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এফবিসিসিআই’র সূবর্ণ জয়ন্তী এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সামিট।

    তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আমরা যে পারি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সেটা প্রমাণ করেছি। এই সেতু শুধু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলেই নয়, এ সেতু আমাদের আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াবে। ন্যূনতম ১.২ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

    আরও পড়ুন-    রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা

    শেখ হাসিনা বলেন, গত ডিসেম্বরে আমরা মেট্রো রেল যুগে প্রবেশ করেছি। এসব সাফল্যের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ এখন ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চাই। এটা আমাদের লক্ষ্য। আমরা আমাদের রূপকল্প ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বেসরকারি, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি কৌশলগত পথরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ৫ শতাংশ বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে সক্ষম হবে বলে আশা করি।

    সরকারপ্রধান বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। করোনায় পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও আমাদের অর্থনীতি থামেনি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উন্নয়নের রোল মডেল।

    আরও পড়ুন-    উত্তপ্ত লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট : তিন সদস্য’র তদন্ত কমিটি গঠন

    তিনি বলেন, আমাদের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যুক্তরাজ্য বা জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমানে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করি বাংলাদেশ সক্ষম হবে। আমি জানি, এটা একটু বেশি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা তারপরও উচ্চ আকাঙ্ক্ষা করতে তো কোনো আপত্তি নেই। ২০২৫ সাল বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ধনীর সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার।

    বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সেটি আরও সংস্কার ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সরিয়ে দেওয়া হবে। (যে বিষয়ে) সিদ্ধান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনায় পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও আমাদের অর্থনীতি থামেনি। ২০০৬ এর ৬০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন-    বড়াইগ্রামে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

    তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হলে আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য আমি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মানসিকতা নিয়ে এগোনোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি কোনো হতাশা শুনতে চাই না। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করব।

    শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ বন্যা-খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত পেত। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। গত ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি করোনাকালেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যে পারি, সেটা প্রমাণ করেছি পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করে।

    আরও পড়ুন-    কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের মানুষের এ দুঃখের শেষ কোথায়?

    তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ প্রথম সরকার গঠন করে। তখন দেশের কিছু উন্নয়ন করতে সক্ষম হই। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশগুলোর একটিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। একসময়কার বাংলাদেশ দারিদ্র্যপীড়িত, বন্যা, খরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। এখন সেই অবস্থা নেই। এটা দাবি করতে পারি যে সবার সহযোগিতায় মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসা, ভুটানের বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্ম দর্জি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন জং। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon বিজ্ঞাপন

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০