চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বীজের তীব্র সংকটের কারণে গম চাষে কৃষক চরম বিড়ম্বনায় পড়লেও উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন কৃষক। দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ শেষে গমের সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গম চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। ১০ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৭ শ চাষীকে কৃষি প্রণোদনার আওতায় জনপ্রতি ২০ কেজি গমবীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গম উৎপানের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গম চাষে খরচ কম হয়। ভালো দাম ও ফলনের আশায় তিন বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। গমের কোনো কিছুই ফেলতে হয় না। গম বিক্রির পর গমের আটি বিক্রি করেও টাকা আসে।
তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, উঁচু জমিতে গম ভালো হয়। সেচসহ অন্যান্য খরচ কম লাগে। চার বিঘা জমিতে গম বুনেছেন। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, আবহওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক গমের ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। গম কেটে পাট চাষের সুযোগ থাকায় কৃষকেরা এখন গম চাষে ঝুঁকছেন।