শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝীরঘাট এলাকায় অবস্থিত এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার ও স্কুলের লাইব্রেরিতে ভাংচুর চালিয়েছে সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী। ভাংচুর করা একজন শিক্ষার্থীর নাম শান্ত ইসলাম(১৩)। ভাংচুর কারীরা একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে শান্ত ইসলাম ও তার সহযোগীরা স্কুলে প্রবেশ করে স্কুলের শহীদ মিনার ও লাইব্রেরি কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ভাংচুর করে। এসময় শহীদ মিনারে ভাংচুর চালানোর পাশাপাশি অফিসের মধ্যে থাকা ফুলের ডালাসহ অফিসের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আসবাবপত্র নষ্ট করা হয়।
এই ঘটনায় শান্ত ইসলাম জানায়, তাদেরকে স্থানীয় বিল্লাল এবং ফরিদসহ কয়েকজন তাকে খুনের হুমকি দিয়ে তাকে শহীদ মিনার ভাংচুর করতে বলে। যার ফলে তারা ভয় পেয়ে শহীদ মিনার ও স্কুলের লাইব্রেরিতে রাতে ভাংচুর চালায়। এই বিষয়ে একটি লিখিত দিয়েছে সপ্তম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থী শান্ত ইসলাম এবং তার পিতা মোঃ রাসেল সরদার।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
এ বিষয়ে এম্বিশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম কাইউয়ুম হক জানান, আমরা সোমবার সারাদিনব্যাপী পরিশ্রম করে শহীদ মিনার এবং ফুলের ডালা সাজাই। কিন্তু রাতে আমাদেরই কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় কয়েকজনের প্ররোচনায় এগুলো ভাংচুর করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্ররোচনা প্রদানকারীরা মূলত ইতিপূর্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের চুন্নু হাওলাদার জানান, আমরা ভাংচুরের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক জরুরি সভা ডেকে বসে একটি লিখিত রাখি। এছাড়া আগামিকাল আমরা আরও একটি সভা ডেকেছি, উক্ত সভায় এই ঘটনায় আমাদের করনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার এবং স্কুলের লাইব্রেরিতে ভাংচুরের একটি ঘটনা আমরা শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত কারও থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ কামরুল হাসান সোহেল জানান, মাঝীরঘাটের এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার এবং লাইব্রেরিতে ভাংচুরের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনা সত্যি হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।