লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) পিটিয়ে আহত করে কয়েকটি ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা জানাজানি করলে তাকে ফের মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় মুখোশধারীরা।
শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে কয়েকজন বখাটে কিশোর (১১-১৪ বছর) প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো বলে জানিয়েছেন তার বোন ও দাদি।
ওই ছাত্রী ও তার পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সে একা বাড়ি ফেরার পথে মুখোশ পরা অবস্থায় কয়েকজন ছেলে ওই ছাত্রীকে ঘেরাও করে। এ সময় রাস্তার ওপরে মুখোশধারীরা তাকে ধরে কয়েকটি ওষুধ জোর করে খাইয়ে দেয়। একপর্যায়ে তাকে ক্যাবল তার দিয়ে পায়ে এলোপাতাড়ি পেটায় তারা। ইট দিয়েও পায়ে আঘাত করে।
পরে মুখোশধারী একজনকে কামড়ে সে ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর সে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে। বিদ্যালয় থেকে ফেরার ক্লান্তি ভেবে পরিবারের লোকজন তার অসুস্থতাকে গুরুত্ব দেইনি। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ছাত্রী জানায়, ওষুধগুলো জোরপূর্বক তাকে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কালো কাপড়ে ছেলেগুলোর মুখ ঢাকা ছিল। সে কাউকে চিনতে পারেনি। তাকে ক্যাবল তার দিয়ে পিটিয়েছে। ইট দিয়েও আঘাত করেছে। বাড়িতে কাউকে বললে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে তাকে। অচেনা কিছু ছেলে তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো।
ছাত্রীর দাদি জানান, প্রথমে মনে করেছিলাম স্কুল থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে গেছে। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিশা বিস্তারিত ঘটনা জানায়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ কে আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, মারধর করা হয়ে বলে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, ঘটনাটি কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।