biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাWednesday , 1 February 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • নেই খেলার মাঠ ও পার্ক: বাধাগ্রস্ত শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ

    Link Copied!

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুর একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। নয়টি ওয়ার্ডে ৩ লাখ মানুষের বসবাস। রায়পুরে বেশির ভাগ-সড়ক সরু ও ভাঙাচোড়া। ঘনবসতিপূর্ণ পৌরসভার এলাকায় শিশু-কিশোরদের জন্য নেই কোনো খেলার মাঠ ও পার্ক। বয়স্কদের জন্য নেই ব্যায়ামাগার বা হাঁটার কোনো খোলা জায়গা। এ এলাকার শিশু-কিশোরদের জন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ শিশু-কিশোর সময় কাটানোর জন্য বেছে নিচ্ছে ইন্টারনেট এবং মেঘনা নদীর পাড়। আসক্ত হচ্ছে মাদকে। এছাড়াও শিশু-কিশোররা এলাকার সড়কগুলোতে খেলাধুলা করতে গিয়ে মাঝে-মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। প্রতি বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার দালাল বাজার খোয়াসাগর দিঘি, জমিদারবাড়ী, মেঘনা নদীর পাড় (আলতাফ মাষ্টার ঘাট ও হায়দরগন্জ ফুটক্লাব) বিনোদনপ্রেমীদের ভীড় জমায়েত হয়।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশু অধিকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ, যা শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক গঠনে অন্যতম ভূমিকা রাখে। খেলার মাঠ ও পার্ক না থাকায় স্বাভাবিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাধুলা করতে না পারায় একদিকে যেমন শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে তারা ইন্টারনেট ভিত্তিক গেমস ও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

    সরেজমিন দেখা যায়, ঘনবসতিপূর্ণ রায়পুরে রয়েছে মধ্য এশিয়ার বৃহত্ত্বম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র, থানা, সরকারি মাচ্চেন্টস একাডেমি, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলীয়া কামিল মাদরাসা, সারেজিষ্টার কার্যলয়, এলএম পাইল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, প্রিন্সিপাল কাজি ফারুকি স্কুল এন্ড কলেজ ও উপজেলা প্রশাসন আশপাশের এলাকা। বেশির ভাগ এলাকায় নেই কোনো উপযুক্ত খেলার মাঠ ও পার্ক। প্রায় ১৫ বছর আগে দুটি সিনেমাহল বন্ধ হয়ে যায়। যা আছে তাও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সরকারি মাচ্চেন্টস একাডেমির খেলার মাঠ রয়েছে। তবে মাঠটিতে বেশির ভাগ সময় খেলোয়ারদের খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকায় বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দারা। এলএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকলেও সেটিও পুরোপুরি বড়দের দখলে থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

    পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, যানবাহনের শব্দ ও রাস্তার ধুলাবালির কারণে শিশুসহ বড়রাও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু-কিশোররা উন্মুক্ত স্থান, খেলাধুলা ও বিনোদনের জায়গা না পাওয়ায় ঘরে আবদ্ধ অবস্থায় বেড়ে উঠছে। বয়স্কদের বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের হাঁটা-চলার জন্য নেই কোনো উন্মুক্ত জায়গা।

    কাঞ্চনপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী মাজেদ হোসেন বলেন, শুধু শিশু নয়, প্রতিটি মানুষের সুস্থ মন, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক অত্যন্ত জরুরি। মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটিতে সকালে চাকুরীজিবী ও বৃদ্ধরা বেয়াম করতেন। কর্তৃপক্ষ নিষেধ করায় অনেকদিন ধরে সেখানে কেউ যাননা। প্রায় তিন বছর আগে টিসি সড়কের পাউবোর পরিত্যাক্ত জায়গায় সাবেক মেয়র ইসমাইল খোকন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিশু পার্কের উদ্যোগ নিলে অদৃশ্যের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। অতিদ্রুত এটি সংস্কার করা হলে রায়পুরে কিছুটা বিনোদন ও খোলামেলা হাঁটার জায়গা পাবে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আরও অনেক সরকারি জায়গা রয়েছে যা স্থানীয়দের দখলে। সরকারের উচিত সেগুলোও দখলমুক্ত করে শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা।

    দেনায়েতপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা ও রায়পুর সরকারি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাশেদুন্নবি  বলেন, শিশুদের উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্তের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

    এ বিষয়ে রায়পুরের তিন নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসফ হোসেন বলেন, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও খোলা স্থান খুবই কম রয়েছে। যার জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক নাই। দুটি স্কুলে খেলার মাঠ রয়েছে ঠিক। তবে, পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, টিএসসি সড়কের পাউবোর পরিত্যাক্ত জায়গা ও তার পাশে ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ে শিশু পার্ক ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামের ব্যাবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সংস্কার করে শিশুদের খেলাধুলা, বিনোদন ও বড়দের হাঁটার জন্য পার্কের চার পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে।

    পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ইতিমধ্যে খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছে। পৌরসভার আওতায় যেসব পরিত্যাক্ত খালি জায়গা উন্নয়ন করা হবে। নতুন করে কোনো জায়গায় দ্রুত খেলার মাঠ অথবা পার্ক করার চিন্তা নাই। পৌরসভার পরিত্যাক্ত জায়গা রয়েছে সেটিকে প্রকল্পের মাধ্যমে এক কিঃমিঃ উন্নয়ন হবে। ফুলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে সাজানো হবে। বসার জায়গা, বৃদ্ধরা হাঁটতে ও শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে।

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…