biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাMonday , 30 January 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • লক্ষ্মীপুরে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সয়লাব

    Link Copied!

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ‘স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ ও ‘কেজি স্কুল’ নামে গড়ে ওঠা বোর্ডের অনুমোদনহীন প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে অন্য স্কুল থেকে। এই সব স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কেজি স্কুলগুলোর সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে নার্সারি থেকে পঞ্চম ও নবম শ্রেণী পর্যন্ত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ব্যাঙ্গের ছাতার মত ছোট-ছাট মাদরাসাও গড়ে উঠছে। অথচ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। তবে স্কুলের ব্যাপারে সরকারি কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় নেতিবাচক ব্যবস্থা নিতে পারছে না শিক্ষা প্রশাসন কিংবা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৪টি শর্ত পূরণ না হলে বেসরকারি কেজি স্কুলগুলো নিবন্ধন বাতিল গণ্য এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে। বরং অনুমোদনবিহীন এইসব স্কুলে সরকারি বই সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। নবম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল ছাড়াও শহরে ও গ্রামে কেজি স্কুল রয়েছে প্রায় ১’শ। এছাড়া ভর্তি হলে সমাপনী ও জেএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার শতভাগ গ্যারান্টি সহ নানা লোভনীয় অফার রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সামনে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের অভাবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান দিন দিন বেড়েই চলছে। এদিকে অবৈধ প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন চেষ্টা চলছেবলে অভিযোগ উঠে।

    উপজেলায় প্রায় শতাধিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কেজি স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে না পেরে অবৈধ পন্থায় নিবন্ধের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৬শ অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২৫৫ টি রেজিষ্টেশনকৃত কেজি স্কুলকে চলতি বছরের জানুয়ারীতে পাঠ্যবই দেওয়া হয় বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানান।
    রায়পুরে ৬১টি, রামগঞ্জে ৪০টি, কমলনগরে ১৭টি , রামগতি ১৬টি ও সদরে ১২১টি রেজিষ্ট্রেশনকৃত কেজি স্কুল রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে এ বছর সরকারী বইসহ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের সরকারি কলেজে আসন সংকট এবং মানসম্পন্ন স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থী ধারণের স্বল্পতাকে পুঁজি করে বাসাবাড়িতে ও জমি ভাড়া নিয়ে কেজি স্কুল এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে এই ব্যবসা চলছে জমজমাট ভাবে। এই ধরনের স্কুল ও কলেজে আবার জন্ম নিয়েছে কোচিং সেন্টারের পথ ধরে। কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া শিক্ষকরাই আবার শিক্ষকতা করছেন এইসব স্কুল ও কলেজে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সাইনবোর্ড ও ব্যানার নিয়ে গড়ে ওঠা এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন একই পরিবারের কয়েকজন। এদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরও। এই ক্ষেত্রে সমাপনী পরীক্ষা দিতে এই স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বারস্ত হয় অনুমতি থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাতার নিচে। অনুমতি আছে এমন স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয় অনুমতি না থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।

    এই বিষয়ে রায়পুর দক্ষিণ-পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর আলম জানান, যেখানে-সেখানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিন্ডার গার্ডেন গড়ে ওঠায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন-দিন কমে যাচ্ছে। সরকারের সুনিদিষ্ট নীতিমালা ও কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।অবৈধ স্কুল গুলো বিষয়ে দেখারকেউ নেই ?

    হায়দরগন্জ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল হক জানান, অসংখ্য রেজিষ্ট্রেশন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই লক্ষ্মীপুর জেলায়। করোনাকালীন সময়ে অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ও চাই নীতিমালা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলুক।

    রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মাইনউদ্দিন জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রায়পুরে অনুমোদনবিহীন রয়েছে প্রায় শতাধিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর মধ্যে একাডেমিক পাঠদানের অনুমতি আছে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি আছে। অনুমোদনবিহীন এসব কেজি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির ব্যাপারে প্রতি বছর ডিসেম্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বার বার সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছে।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী  জানান, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদনবিহীন কোনো স্কুল অথবা কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। কেজি স্কুল ও নুরানী মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে আমাদেরই শিক্ষকদের কারনে। কারন, তারা সঠিকভাবে আদরের সহিত শিশুদের পাঠদান করান না। গৃহপরিদর্শন করেন না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়াতে সরকার পিইসি পর্যন্ত ওই সব স্কুলের পরীক্ষা অনুমোদন করে এবং বই সরবরাহ করে থাকেন। তবে ৮ম পর্যায়ের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই সব স্কুল ভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ঠিক কিন্তু আমরা দেখছি যে সব স্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করছে সেই স্কুলে যাচ্ছে। তারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য আড়াল করে এইসব কাজ করছে।এসব স্কুলের ব্যাপারে সরকার ৩৪টি শর্তে নিবন্ধন করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষক সভায় শিক্ষকদের সতর্ক করলেও তারা কোন কথাই শুনছেননা।

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…