দিনাজপুরের বিরামপুরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দূর্ঘটনা এড়াতে গতিরোধক ও ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় রাস্তা পারাপারে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগে পহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ এলাকাবাসীকে।
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি বিরামপুর শহরের অনেক ব্যস্ততম সড়ক। এই মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিনই অহরহ দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
এই মহাসড়কে নেই কোন ফুটপাত, গতিরোধক, ফুট ওভারব্রিজ কিংবা জেব্রা ক্রোসিং। এ অবস্থায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থী ও পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। সকলেই জীবনকে বিপদাপন্ন করে মহাসড়কটি আড়াআড়ি ভাবে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্য যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন সকালে সড়ক পার হয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া এবং বাড়িতে ফেরা হয়ে পড়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন- উলিপুরে প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
গতকাল রবিবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে শহরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছু সময় পরপর শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হাত উঁচিয়ে গাড়ি থামিয়ে মহাসড়কের রাস্তা পার হচ্ছে। এতে প্রায়ই সময়ই সৃষ্টি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট, মানব জটলা, এমনকি ঘটছে দূর্ঘটনা। কেউ কেউ হাত না দেখিয়ে গাড়ি না থামিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছেন, এতে করে ঘটছে দূর্ঘটনা।
বিরামপুর পৌর শহরের মহাসড়কের দু’পাশে রয়েছে অনেক গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সড়কের এক দিকে রয়েছে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, আদর্শ হাইস্কুল ও আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা, আইডিয়াল কেজি স্কুল, শিমুলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শিমুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্যদিকে রয়েছে বিরামপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসা, উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, বিরামপুর মহিলা কলেজ, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বিরামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন- গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
বিরামপুর আইডিয়াল কেজি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা মর্জিনা বেগম বলেন, পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদে মহাসড়ক পারাপারের জন্য বিরামপুর শহরে স্কুল-কলেজ এলাকায় ফুট ওভারব্রিজের দাবী আমাদের দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়র এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা হয়েছে, পৌর শহরে মহাসড়কে গতিরোধক এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে, আশা রাখছি এর দ্রুত সমাধান হবে।