উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যদি লুটপাট না হয় উন্নয়নের নামে তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কীভাবে বিদেশে পাচার হলো? সুতরাং এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।’
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, জাহিদ হোসেন ইমন, হোসেন শাহিন রাব্বানী, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
‘জিয়াউর রহমান একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও গ্রামে গ্রামে হাঁটছেন। কৃষক শ্রমিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করছেন। নারীদের পাশে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি সমাজে দেখতে চেয়েছেন মানুষ কোন অবস্থায় রয়েছেন। জিয়াউর রহমান কর্মঠ ছিলেন, যার ফলে কেউ কর্মহীন থাকতে পারেনি।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজে সৎ ছিলেন বলেই তার মন্ত্রিসভায় কোনো অসততা ঠাঁই পায়নি। সুতরাং আজকে অসততা ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশটা শেষ প্রান্তে চলে গিয়েছে। দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। মেগা প্রজেক্টের আড়ালে অর্থাৎ উন্নয়নের আড়ালে দুর্নীতি। উন্নয়নটা ধারাবাহিক প্রকল্প এবং এটা জনগণের টাকায়। সুতরাং এখানে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। বাহবা তখনই পাওয়া যায় যখন সততার সঙ্গে কাজ করা হয়।
‘আমাদের যে আন্দোলন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের মালিকানা তাদের হাতে যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, তাহলে জনগণ এক দিন আমাদের পুরস্কৃত করবে।’