নেত্রকোণার মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে মাছ শিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই তিয়শ্রী এন.এইচ.খান একাডেমির নাম ব্যবহার করে চলছে ডালি নদী ও মৎস্য সম্পদের সর্বনাশ।
অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও প্রথমে বায়না ও জাল দিয়ে নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পরে সুবিধা মতো নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ শিকারের প্রস্তুতি। নদী শুকিয়ে মাছ শিকার করায় দেশীয় প্রজাতির মাছের ঘটছে বিলুপ্তি। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে ফসলের জমিতে সেচের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় পানির তিব্র সংকট।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি মহল লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। ডালি নদীকে শুকিয়ে মাছতো মারেই, একপর্যায়ে এসে ঔষধ ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে দেশীয় মাছ টেনে বের করে।
আরও পড়ুন-
এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জানান, আমারা ইউনও অফিস থেকে সমতা মৎজীবী সমিতির নামে ১৪-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লিজ নেই। আমাদের দারা তো মাছ ধরা সম্ভব না, তাই কিছু লোক দিয়ে মাছ ধরাচ্ছি।
মৎস্য শিকারী আলিম মিয়া জানান, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সিজনের জন্য লিজ নিয়েছি। নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার করব এই শর্ত দিয়েই নদী লিজ নিয়েছি। এ বিষয়ে তিয়শ্রী এন.এইচ. খান একাডেমী প্রধান শিক্ষক সবই জানেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে বা শুকিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ শাহনূর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি দেখতে তিয়শ্রী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।