খেলতে গিয়ে আখ ক্ষেতে প্রবেশ করায় লক্ষ্মীপুরে চারটি শিশুকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আমলি আদালতের বিচারক আবু ইউছুফ এ আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী আবদুর রহিম রাজু বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় চারটি শিশুকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এতে ভিকটিম তানজীদ আহমেদের মামা মিজানুর রহমান সুবজ তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগ করেন।
এটি আমলে নিয়ে বিচারক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআরভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শিশুদের ওপর হামলার অভিযুক্তরা হলেন- জেলার রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরমোহনা গ্রামের মো. মুসলিম, মামুন হোসেন, সাহাব উদ্দিন মিঝি।
নির্যাতনের শিকার শিশুরা হলো- একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (১০), তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে তানজীদ আহমেদ (৮), মো. আজাদের ছেলে মো. শামিম (১১) ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামিম আহমেদ (৯)। তারা দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ উদমারা গ্রামের একই বাড়ির বাসিন্দা। অভিযোগকারী সবুজ একই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই দুপুরের দিকে ওই চার শিশু ডাকাতিয়া নদীর পাশে খেলতে ও গোসল করতে যায়। খেলার সময় অভিযুক্তদের আখ ক্ষেতে প্রবেশ করে শিশু চারটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চার শিশুকে ক্ষেতে মধ্যেই মারধর শুরু করেন অভিযুক্তরা। ক্ষেত থেকে বের করে এনে ফের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন তারা। এতে শামীমের কানে রক্তাক্ত জখমসহ পর্দা ফেটে যায়। তানজীদকে লাঠি দিয়ে পিটুনির পর গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। পরে ভিকটিম চার শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে শিশুগুলোকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে শামীমকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনও আসেনি। নির্দেশনা এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।