biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাTuesday , 6 December 2022
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ সৈকত এর কিছু কথা

    Link Copied!

    ভাদ্রের কোনো এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় আমার জন্ম। আদিগন্ত ধানক্ষেতের দোল খাওয়া বাতাসে আমার বেড়ে ওঠা। বর্ষার বৃষ্টিতে ফুটবল খেলে কাঁদা মাখামাখি গায়ে ঘরে ফেরা কিংবা তুমুল জোৎস্নার রাতে অবাক ঝি ঝি পোকার ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থেকে কেটেছে আমার শৈশব।

    মায়ের কোলে শুয়ে জীবনের জয়গান গাওয়া আমি মাধ্যমিকের পাঠ চুকানোর আগেই জড়িয়ে পড়লাম ছাত্ররাজনীতিতে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় হলাম লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমি ছাত্রলীগের সভাপতি। রাজনীতি ততোদিনে আমার প্রেম।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আজন্ম ইচ্ছা নিয়ে মাধ্যমিকের ফলাফলের পর আমি আমার আপন ঘর ছেড়ে এই শহরে এলাম। ঢাকা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়লাম দুই বছর। পড়ালেখার ভীষণ চাপেও স্কুলের প্রেম ছাত্রলীগকে ছাড়িনি। সক্রিয় কর্মী হয়ে ছিলাম হাজারীবাগ ছাত্রলীগে। এরপর আমি আসি স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    এই ক্যাম্পাসে আমার শিক্ষকদের স্নেহ-মমতা, বন্ধুদের দেওয়া সাহস, অগ্রজ-অনুজদের নিরঙ্কুশ সমর্থন আর আমার ভালোবাসার সংগঠন ছাত্রলীগের সহযাত্রীদের ভালোবাসা আমাকে বানিয়েছে একজন—সাহসী, সহমর্মী ও বোধসম্পন্ন মানুষ।

    বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— দীর্ঘ এ যাত্রায় আমি আমি আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিলাম আমার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। হল শাখা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আর কেন্দ্রীয় সংসদের রাজনীতির পর আমি ফের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোট ও ভালোবাসায় ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুর সদস্য নির্বাচিত হই।

    আমার মতো স্বপ্নবাজ একজন তরুণের ছাত্ররাজনীতির এই অনন্য যাত্রায় আমি কেবল চেয়েছি দেশ, মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে। দেশকে মৌলবাদী শকুনের অন্ধকার হাত থেকে রক্ষা করতে আমি যেমন উত্তাল স্লোগানে রাজপথে নেমেছি; তেমনি গান, কবিতা, চিত্রকলা আর নাট্যকলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি অসাম্প্রদায়িকতা আর নানন্দিকতার সুশ্রী বীজ। আমি জানি, সে বীজ একদিন অঙ্কুরিত হয়ে ডালপালা মেলে স্বাধীনতা বিরোধী আর বাংলাদেশ বিরোধীদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে।

    করোনার করুণ দিনে যখন সবার ঘরে ফেরার তুমুল তাড়া তখন আমার বিবেক আমাকে ঘরে ফিরতে দেয়নি। বারবার মনে হচ্ছিলো, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তো অনেক মানুষ লড়াই করে এই দেশটাকে রক্ষা করেছিলো, তাঁরা তো প্রাণের মায়া করেনি। অজানা এই ভাইরাসের কারণে দেওয়া নিশ্চল লকডাউনে সব মানুষ ঘরে ফিরলেও এই শহরের আশ্রয়হীন মানুষেরা কোথায় যাবে? তারা কী খাবে? কীভাবে বাঁচবে? আমার বিবেক তখন আমাকে ঘরে ফিরতে দেয়নি। আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চেয়েছি এই দেশের মানুষের জন্য।

    এরপরের গল্প হয়তো অনেকেরই জানা। মহামারির ঘরবন্দি ১২১ দিন আমি টিএসসিতে আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। মা-বাবাহীন এই শহরে তখন আমার সঙ্গী ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী, আপনাদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর খাবার হাতে পাওয়া শীর্ণকায় মানুষগুলোর মুখের স্বর্গীয় হাসি।

    করোনার দুর্যোগ কিছুটা কমলে মানুষ যখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে, আশ্রয়হীন মানুষগুলোর খাবারের বিকল্প সংস্থান শুরু হয়, তখন ২০২০ সালের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগে ধেয়ে আসে বন্যার ঢল। ১২১ দিনের মাথায় টিএসসিতে তাই আমরা দু’বেলা খাবার বিতরণ কার্যক্রমের ইতি টানি। সে রাতেই আমরা চলে যাই সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত বন্যাপ্লাবিত এলাকায়। সেখানে শুরু হয় নতুন লড়াই। প্রতিদিন খাবার রান্না করে পৌঁছে দেই নিরন্ন মানুষের হাতে। তিন সপ্তাহজুড়ে এক ক্লান্তিকর অধ্যায় শেষে আমরা ফিরি এই শহরে। ঢাকায় এসে শুনি আমাকে জাতিসংঘ থেকে‘রিয়েল লাইফ হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

    পরের বছর যখন বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ আঘাত হানে, লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দক্ষিণের কিছু এলাকা। তখন আমরা ছুটে যাই ভোলার সূদুরে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা ঢালচরে। সেখানে ঘর হারানো মানুষের ঘর তৈরিতে নিজেদের নিয়োজিত করি আমরা। মহামারি মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভ্যাকসিন সমতার ডাক দেন, তখন আমরা স্বল্পশিক্ষিত ও ভাসমান মানুষদের ভ্যাক্সিনেশন নিশ্চিত করতে তাঁদের বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করি। শুধু তাই নয়, তাঁরা যেন ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ হন সে জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই তাঁদের উপহার দিয়েছি।

    দুর্যোগ, দুর্বিপাকে ঘরে বসে থাকা আমার ধাতে সয় না। তাই নিজেকে দেশের তরে বিলিয়ে দেওয়া আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

    শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আবাসিক সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য আন্দোলন, অন্যায্য ফি কমানোর আন্দোলন, ভর্তি জালিয়াতদের প্রশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন, ক্যাম্পাসে রিকশাভাড়া নির্ধারণ, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসালয়ে নকল ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলন, খেলার মাঠ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ বহু শিক্ষার্থীবান্ধব কাজে তাঁদের পাশে থেকেছি।

    দুর্বার আন্দোলনে রাজপথে থেকেছি পেট্রোলবোমাবাজ আর বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষের পাশে, শিক্ষার্থীদের পাশে ও বাংলাদেশের পক্ষে থাকতে বলেছেন, সেভাবে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি।

    আমি আপনাদের তানভীর হাসান সৈকত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হয়েছি। আমার এ যাত্রার অক্সিজেন আমার বাবা-মায়ের দোয়া ও আপনাদের ভালোবাসা। ছাত্ররাজনীতির এই মঞ্চে আমাকে এতোদূর এগিয়ে আসতে আপনারা যারা সহায়তা করেছেন, দোয়া করেছেন ও শুভকামনা জানিয়েছেন তাদের কাছে আরেকবার দোয়া চাচ্ছি। মানুষের পাশে, এ দেশের ছাত্রসমাজের পাশে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রাণ দেওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের একজন হয়ে যেন থাকতে পারি সেই দোয়া চাই।

    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…