পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়েছে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বুধবার পরিকল্পনা কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমলেও গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে এটি বেশি। গত বছর জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০২১ সালের জুলাইয়ে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। চলতি জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। তাদের জন্য বলতে চাই, আমরা শ্রীলঙ্কা হইনি, হবো না। মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। আপনারা দেখছেন- খাদ্যের জাহাজ রাশিয়া থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে আমাদের তীরে আসবে। তেল, চাল ও গমের দাম কমছে। সামনে মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। আমরা জানি, মূল্যস্ফীতি বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়। ৪২২টি পণ্যের গড় করে মূল্যস্ফীতির তথ্য দেওয়া হয়েছে।’
বিবিএস-এর তথ্যে মাসওয়ারি পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কিছুটা কমেছে। ডিম, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কমেছে বলে দাবি সংস্থাটির।
খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে, জুন মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।