পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মিডিয়াকে একটু ‘সহনশীল’ হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া গতকালের বক্তব্যকে মিডিয়া ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন- “দেশে সবার বাকস্বাধীনতা রয়েছে। তাই সবাই সব কথা বলতে পারেন। তবে বক্তব্য অন্যভাবে উপস্থাপন হলে দুঃখ লাগে।”
আজ শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতকাল আমি বলেছি, শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হবে। আর এদেশে যত নাগরিক আছে সে যেকোনো ধর্মের হোক সবার সমান অধিকার। শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী স্থিতিশীলতার কথা বলেছে। স্থিতিশীলতায় আমাদের দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে। আপনার দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্য ভালো হচ্ছে। সুতরাং, স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ অঞ্চলে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা চাই না। আসামে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি বলেছি কেন? তিনি বলেছেন, কারণ শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেই সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন। এসব কারণে আসাম ও মেঘালয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা নেই। তাদের দেশে বহু উন্নয়ন হচ্ছে। ইনভেস্টমেন্ট আসছে। শেখ হাসিনার আহ্বানে এটা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জনগণ খুব কষ্টে আছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেল। যে তেল ৯০ টাকা ছিল সেটা হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমি এটা কোনোভাবে মেলাতে পারি না। সর্বমোট ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা প্রতি লিটারে। একি কাণ্ড! সবকিছুর দাম হু হু করে বেড়ে গেল। আমরা এই জন্য খুব উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের বন্ধু। আমরা সরকারে আছি সাধারণ লোকের জন্য। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেটা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
এর আগে তিনি জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।